বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন খাতামপুরি এতেকাফের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন: ইমাম খোমেনীর (সা.) নেতৃত্বে ইরানের ইসলামী বিপ্লব প্রতিষ্ঠার পর সারা ইরানব্যাপী প্রতি বছর রজব মাসে এতেকাফ পালিত হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য গৌরবের বিষয় যে, ইসলামের এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান জাতীয় পর্যায়ে পালিত হয়; যা সমগ্র মুসলিম জাহানের কোথাও এমন ব্যাপক পরিসরে উদযাপিত হয় না।
তিনি বলেন: এতেকাফ পালনের স্থান হচ্ছে মসজিদ। যেমনভাবে ধর্মপ্রাণ
মুসলমানরা মসজিদে হাজির হয়ে নামায আদায় করে, তেমনভাবে এতেকাফও শুধুমাত্র
মসজিদেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মসজিদ এ পৃথিবীতে আল্লাহর ঘর হিসেবে পরিচিত। আর
এতেকাফ পালনকারী তিন দিন ও রাত্র এমনকি তার চেয়েও বেশি দিবারাত্র মসজিদে
ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকে। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, মসজিদে উপবেশন হচ্ছে
ইবাদতের অন্তর্ভূক্ত। অর্থাৎ কেউ যদি মসজিদে কোন ইবাদতও আঞ্জাম না দিয়ে
শুধুমাত্র মসজিদে বসে থাকে, তবুও সে ইবাদতের অধিকারী হতে পারবে। সুতরাং বলা
যায় যে, মসজিদে বসা বেহেশতে বসার থেকেও ফজিলতপূর্ণ। সূত্র: শাবিস্তান