বার্তা সংস্থা ইকনা: আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষ হবে রোববার। ২০ জানুয়ারি শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
শুক্রবার ভারতের মাওলানা ওবায়দুল খোরশেদের আমবয়ান উর্দুতে হলেও তা বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা জাকির হোসেন। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বিরা পর্যায়ক্রমে ইমান, আমল, আখলাকসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে বয়ান করবেন।
ইজতেমার প্রথম পর্বে ১৭টি জেলার জামাতবদ্ধ মুসল্লিরা ময়দানের ২৭টি খিত্তায় (জেলাওয়ারি অবস্থান) করছেন। রাখা হয়েছে পানি, বিদ্যুৎ, চিকিৎসাসেবাসহ আবশ্যকীয় সব ধরনের ব্যবস্থা। নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা।
জুমার নামাজে মুসল্লির ঢল
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মুসল্লি ইজতেমা মাঠে জুমার জামাতে যোগ দেন। ইজতেমা মাঠের আশপাশের মসজিদগুলোতে জুমার নামাজ পড়ানো হলেও মাঠে সমবেত মুসল্লিদের সঙ্গে নামাজ আদায়ের চেষ্টা ছিল সবারই। জুমার নামাজের সময় ইজতেমার মূল ময়দান ছাড়িয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশপাশের আঞ্চলিক সড়কগুলো কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ইমামতি করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মাওলানা মো. ফারুক।
যাঁরা নামাজ আদায়ের জন্য মূল মাঠে পৌঁছাতে পারেননি, তাঁরা রাস্তার ওপরে, বাসের ছাদে, নৌকায় এমনকি বাড়ির ছাদেও নামাজ পড়েন। খবরের কাগজ, পলিথিন, চাটাই বিছিয়ে যে যেভাবে পেরেছেন নামাজে অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশে ১৯৫০-এর দশকে তাবলীগ জামাতের প্রচলন করেন মাওলানা আবদুল আজিজ। বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদ থেকে এই সমাবেশ কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হয়। পুরো সমাবেশের আয়োজনই করে থাকেন এক ঝাঁক ধর্মপ্রাণ মুসলমান স্বেচ্ছাসেবক- আর্থিক, শারীরিক সহায়তা দিয়ে প্রথম থেকে শেষাবধি তারা এই সমাবেশকে সফল করতে সচেষ্ট থাকেন। বিশ্ব ইজতেমায় ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতি বছর নিয়মিত আয়োজিত হয়ে আসছে।
বিশ্ব ইজতেমার মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের শিক্ষা বিস্তার এবং মুসলিম উম্মাহ'র ঐক্য।