প্রথমে আপনার সম্পর্কে কিছু বলেন এবং আপনার বয়স কত ও কুরআন হেফজ করতে কত সময় লেগেছে?
আমার নাম ইয়াসের আল আহমাদ। আমি সিরিয়ার অধিবাসী। আমার বয়স ২৫। ১৫ বছর বয়স থেকে আমি কুরআন মুখস্থ করা শুরু করি এবং এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করি।
আপনি কোন শিক্ষকদের নিকট কিরাত শিখেছেন?
আমি প্রথমে শেখ মাহমুদ যায়তারীর নিকটে কুরআন তিলাওয়াত শিখি। কুরআন হেফজ করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষকের নিকট কুরআন তিলাওয়াত শিখেছি। তাদের সংখ্যা অনেক বেশী। তাদের প্রত্যেকের নাম বলা এখন সম্ভব নয়।
প্রতিযোগিতা কেমন ছিল?
আল্লাহর দরবারে অশেষ শুকরিয়া। সবকিছুই অনেক ভালো ছিল এবং উচ্চ পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মান কেমন ছিল?
আমি এপর্যন্ত যে সকল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি তার মধ্যে এই প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান অনেক কঠিন ছিল এবং যারা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন তাদের কুরআন তিলাওয়াত ও হেফজের মন অনেক ভালো।
প্রতিযোগিতার বিচারক কমিটি সম্পর্কে আপনার মত কি?
বিচারকমণ্ডলীর কর্মক্ষমতা অনেক ভালো ছিল। বিশেষ করে এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিচারকমণ্ডলী অংশগ্রহণ করেছেন।
আপনি প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন, এ সম্পর্কে আপনার অনুভূতি কি?
প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী হতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত এবং এটি আমার জীবনের অনেক বড় একটি সাফল্য।
আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু বলেন?
এর পূর্বে আমি আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। সেখানে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ বিভাগে পঞ্চম স্থানের অধিকারী হয় এবং ইরানের প্রতিযোগিতায় আমার দ্বিতীয় অংশগ্রহণ।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের সাথে ইরানী কর্মকর্তাদের ব্যবহার কেমন ছিল?
অনেক ভালো এবং তারা অনেক আপ্যায়ন করেছেন। আমাদেরকে অনেক সম্মান প্রদর্শন করেছেন।
কিরাতে'ও কি আপনার দক্ষ রয়েছে এবং কোন বিশেষ ক্বারিকে কি আপনি অনুসরণ করেন?
না, আমি ক্বারি নয় এবং কোন ক্বারিকেও অনুসরণ করি না। আমি কুরআনের একজন হাফেজ এবং অধিকাংশ সময় তাজভিদের চর্চা করি।
সর্বশেষে বলেন এধরনের প্রতিযোগিতায় আপনি সন্তুষ্ট?
হ্যাঁ! এটি একটি পর্যটন প্রোগ্রাম ছিল এবং দর্শকমণ্ডলীরা আমাদেরকে যথেষ্ট অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। থাকার হোটেলও অনেক ভালো ছিল। আয়োজক সহ কারে সকল কিছুই অনেক ভালো ছিল।