বার্তা সংস্থা ইকনা: গণমাধ্যমে প্রকাশ, মুসাফিরখানা তহসিলের বাদলগড় গ্রামে অসামাজিক লোকজন ঈদের নামাজের আগে সেখানকার ঈদগাহে শূকরের কাটা মুণ্ডু ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যায়। ওই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ক্ষুব্ধ জনতার টার্গেটে পরিণত হন তারা। এরপর কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনায় ঈদগাহ পরিচ্ছন্ন করা হয়।
পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা ওই ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলে অবশেষে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরবর্তীতে বেলা ১১ টা নাগাদ শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার সকালে ওই ঈদগাহটিতে মুসলিমরা নামাজ পড়তে গেলে সেখানে তারা শূকরের মুণ্ডু দেখতে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তার আগের দিনই তারা ঈদগাহটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেছিলেন।
পুলিশ ওই ঘটনাকে চাপা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় গণমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। গ্রামবাসীদের চাপের মুখে অবশেষে মিডিয়া এ সংক্রান্ত খবর সংগ্রহ করতে সামর্থ্য হয়। এদিনই বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং ব্লগে খবরটি প্রকাশ পায়।
গ্রামবাসীরা গণমাধ্যমকে জানায় শান্তি ও সম্প্রীতির শত্রুরা বিদ্বেষের এলাকায় আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিল। ঈদগাহে শূকরের কাটা মুণ্ডু দেখে আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি কিন্তু এ নিয়ে কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হলে তাতে বিদ্বেষ বাড়বে। তারা বলেন, আর কাদের বিরুদ্ধে লড়ব? সকলেই আপনজন। অসামাজিক লোকেদের অন্যায়ের সাজা কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির হওয়া উচিত নয়।
ঈদগাহের ইমাম বলেন, ইসলাম ভালোবাসার বার্তা দেয়, ইসলাম শান্তির ধর্ম। বিদ্বেষী লোকেরা ইসলামের বদনাম করছে। এখানকার মানুষ ইসলাম প্রীতির পরিচয় দিয়েছে।
এলাকায় উত্তেজনা থাকায় সংশ্লিষ্ট গ্রামটিতে বর্তমানে পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পার্সটুডে
উত্তর প্রদেশের আমেথির এক ঈদগাহে শূকরের মুণ্ডু