বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: রোজা মানুষের কাম-ক্রোধ, ভোগলিপ্সা নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা প্রদান করে। এ শিক্ষা সার্থক হয়েছে কিনা তার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায় ঈদ উদযাপনের মধ্য দিয়ে। ঈদের আনন্দ শুধু নিজের এবং নিজের পরিবারের মধ্যে সীমিত না করে এ আনন্দকে যথাসম্ভব সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া, সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়ার মধ্যে দিয়েই ঈদের আনন্দ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।
ঈদের দিনে সব শ্রেণীর মানুষ পরস্পর হিংসা-বিবাদ বৈষম্য ভুলে পরস্পর উৎসবে মিলিত হয়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় এক সুন্দর সামাজিক সংহতি। এই সৌহার্দপূর্ণ সংহতির পরিবেশ সৃষ্টিই ঈদের যথার্থ তাৎপর্য।
ঈদের আনন্দ উপযুক্ত আনন্দের মতো কোনো স্থূল আনন্দ বা অপেক্ষাকৃত সংখ্যাগরিষ্ঠদের আনন্দ নয়। ঈদের আনন্দ সর্বজনীন।
ঈদের শিক্ষা হলো সব ভেদাভেদ ভুলে ধনী, গরিব, জ্ঞানী, মূর্খ, শাসক-শাসিত সবাই মিলে একসঙ্গে উৎসব করা। ঈদ উপলক্ষে যদি মানুষ ভেদাভেদ ভুলে পরস্পর একাকার না হতে পারে তাহলে তা সার্থক ঈদ পালন হয় না। ঈদ উপলক্ষে সবাই যাতে আনন্দ করতে পারে সে পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সব সচেতন মানুষের।
ঈদুল ফিতরের নামাজের মোস্তাহাবসমূহ:১। ঈদের নামাজ জামাতের সাথে পড়তে হবে।
২। ঈদের নামাজ জোরে পড়তে হবে। এবং নামাজ শেষে দুইটা খোতবা দিতে হবে। জুম্মার নামাজে প্রথমে খোতবা দিতে হয় আর ঈদের নামাজের পরে খোতবা দিতে হয়।
৩। প্রথম রাকাতে সূরা হামদের পর সূরা আলা «سَبِّحِ اسْمِ رَبِّک الاْعْلی» এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা হামদের পর সূরা শামস «وَ الشَّمْس» পড়তে হয়।
৪। ঈদের দিন সকালে উঠে খোরমা দিতে নাস্তা করা।
৫। নামাজের পূর্বে গোসল করা এবং দোয়া এবং যিকির পাঠ করা।
৬। খোলা আকাশে নামাজ পড়া এবং মাটিতে সেজদা দেয়া।
৭। ইমাম হুসাইনের (আ.) যিয়ারত পাঠ করা।
৮। চাঁদ দেখার পর থেকে গোটা ঈদের দিন এই দোয়া পাঠ করা: «اَللّهُ اَکبَرُ، اَللّهُ اَکبَرُ، لا إلهَ إلاّ اللّهُ وَ اَللّهُ اَکبَرُ، اللّهُ اَکبَرُ وَ لِلّهِ الْحَمْدُ، اَللّهُ اَکبَرُ عَلی ما هَدانا».
উল্লেখ্য, ফেতরা দেয়া ওয়াজিব এবং ফেতরা দেয়ার সময় হচ্ছে ঈদের চাঁদ দেখার পর থেকে ঈদের নামাজের আগ পর্যন্ত। যদি কেউ ঈদের নামাজ না পড়ে সে যোহরের নামাজের আগ পর্যন্ত দিতে পারবে। তবে সবাই ঈদের চাঁদ দেখার পর থেকে ঈদের নাামাজের আগ পর্যন্ত ফেতরার টাকা , চাল বা আটা আলাদা করে রাখতে পারবে এবং পরে সময় মত তা দরিদ্রদের মাঝে দান করে দিবে।