IQNA

হায়দারাবাদে জুমার নামাজের খুতবায় ইরানী প্রেসিডেন্ট;

বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্য ব্যতীত অন্য কোন পথ নেই

18:45 - February 16, 2018
সংবাদ: 2605068
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানী ভারতের হায়দারাবাদের জামে মসজিদে আজ (১৬ই ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের উদ্দেশ্য বলেন: যদি বিশ্বের মুসলমানেরা ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করত তাহলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করার সাহস পেত না। আমাদের মধ্যে যদি ঐক্য বজায় থাকত তাহলে ইহুদিবাদী শাসক ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার লঙ্ঘন করার সাহস পেত না।


বার্তা সংস্থা ইকনা: হাসান রুহানী বলেন: ইসলামী বিশ্বে আমাদের সকলের উদ্দেশ্য একই। আমরা সকল মুসলমান শুক্রবার জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করি। ইসলামী বিশ্বে মুসলমানদের অন্যতম একটি স্থান হচ্ছে জুমার নামাজ।
ইরানী প্রেসিডেন্ট আরও বলেন: আমরা মুসলমানেরা শুধু ভ্রাত্তিত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না; বরং আমাদেরকে সকল বিশ্বের জন্য আদর্শ হতে হবে। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) শুধু আমাদের হেদায়েত করেনি। বরং তিনি আমাদেরকে বিশ্বের সকল মানুষের জন্য আদর্শ হওয়ার পথ দেখিয়ে গিয়েছেন।
তিনি বলেন: হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, তিনি সমগ্র মানুষের এবং মহাবিশ্ব জন্য রহমত। আমরা মুসলমানেরা সমগ্র বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনা করি। আমরা আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, হে আল্লাহ! সকল দরিদ্রদের মুক্তিদান করুন। বিশ্বের সকল দরিদ্র ও ক্ষুধার্তদের সাহায্য করুন।
হাসান রুহানী বলেন: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এটা বিশ্বাস করে যে, মুসলমানদের ভ্রাত্তিত্ব, জোট এবং ঐক্য ছাড়া অন্য কোন পথ নেই।
তিনি আরও বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল ও অন্য শত্রুদের তৎপরতা রুখতে হলে মুসলমানদের মাঝে অবশ্যই ঐক্য জোরদার করতে হবে। হায়দারাবাদ জামে মসজিদে জুমা নামাজে দেয়া বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু অঞ্চলের মুসলমানদের মধ্যে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার প্রধান কারণ হচ্ছে- ইসলামের শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব না দেয়া। এ সময় তিনি ভারতের জনগণের প্রতি ইরানিদের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন এবং জুমা নামাজ মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
গতকাল প্রেসিডেন্ট রুহানি তিনদিনের জন্য ভারত সফরে গেছেন এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ সফরে ইরান ও ভারতের মধ্যে ১৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে কথা রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিনি এ সফর করছেন।
প্রেসিডেন্ট রুহানির সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ, তেলমন্ত্রী বিজান জাঙ্গানেহ, সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মোহাম্মাদ আখুন্দি এবং শিল্পমন্ত্রী মোহাম্মাদ শারিয়াত মাদারি। এছাড়া, বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল রয়েছে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে।
iqna

captcha