IQNA

‘মুসলিম মেয়েদের পথ করে দিতেই আমার মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় আসা’

1:19 - July 13, 2018
সংবাদ: 2606201
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুন্দরি প্রতিযোগিতায় মুসলিম নারীদের অংশ নেয়াকে কিছু রক্ষণশীল মুসলিম ভালভাবে গ্রহণ না করলেও নূরুল জুরাইনি শামসুল আশা করেন ভবিষ্যতে আরো বেশি মুসলিম নারীরা এতে অংশগ্রহণ করবে।

 

বার্তা সংস্থা ইকনা: নিউজিল্যান্ডের ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সাইকোলজি বিভাগের স্নাতকের ছাত্রী নূরুল জুরাইনি শামসুল (২০)। গত মাসে ‘মিস ইউনিভার্স নিউজিল্যান্ড’ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ২০ জনের মধ্যে স্থান পেয়ে তিনি সংবাদের শিরোনাম হন।

নিউজিল্যান্ডের সুন্দরি প্রতিযোগিতার ইতিহাসে তিনিই প্রথম হিজাবি মুসলিম প্রতিযোগী এবং মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্বিতীয়।

মালয়েশিয়ায় বান্দার বারু আমপাংয়ে জন্মগ্রহণ করেন নুরুল এবং মাত্র পাঁচ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে চলে যান। তার বাবা ‘সিলভার ফার্ন’ খামার থেকে নিউজিল্যান্ডে মহিষ, গরু এবং হরিণের হালাল মাংস সরবরাহ করে থাকেন।

সম্প্রতি সংক্ষিপ্ত এক সফরে জন্মভূমি কুয়ালালামপুরে যান তিনি। সেখানে ‘মালাই মেইল’কে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে নুরুল জানান, তিনি সোমালি-আমেরিকান মডেল হালিমা অ্যাডেনকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

গত বছর যুক্তরাজ্যের ‘মিস মিনোসোটা’ সুন্দরি প্রতিযোগিতায় হালিমা প্রথম মুসলিম হিসেবে হিজাব ও বুরকিনি পরে অংশ নেন।

একই বছরে, ‘মিস ইউনিভার্স গ্রেট ব্রিটেন’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন মুনা জেমা। প্রতিযোগিতায় সাঁতার অংশে তিনি শালীন পোশাক ‘কাফতান’ পরে অংশ নিয়েছিলেন।

শামসুল বলেন, ‘মুনা আমাকে ম্যাসেজ করেছিল এবং আমার কাহিনী তার ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছিল। এটা সত্যিই অবাক করার মতো ছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘হালিমা ও মুনা উভয়েই মুসলিম মেয়েদের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পথ করে দিয়েছেন। তারা যদি হিজাব না পরত, সেক্ষেত্রে আজকে আমি যেখানে আছি, সেখানে থাকতাম না।’

শামসুল বলেন, ‘মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা সম্পর্কে সবাই যা ভাবেন, আমার জন্য এটি তার চেয়েও বেশি কিছু। আমি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি, সকল মুসলিম মেয়েদের জন্য যাতে তারা তাদের আইডিয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।’

হিজাবি এই সুন্দরি বলেন, ‘এটি শারীরিক সৌন্দর্যের চেয়ে অনেক বেশি। এটা আপনার এবং অন্যদের জন্য সম্মানের বিষয়।’

প্রতিযোগিতায় তার অংশগ্রহণের ব্যাপারে শুরুতে তার বাবা রাগান্বিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘যখন আমি শীর্ষ ৫০ জন ছিলাম, তখন তা আমার মাকে বলেছিলাম, কিন্তু আমি আমার বাবার কাছে এটি বলা থেকে বিরত থাকি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার বাবা যখন জানলেন, তখন তিনি আমার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে রাগান্বিত ছিলেন এবং মনে করেছিলেন আমি সাঁতারের পোশাক পরব এবং প্রতিযোগিতার জন্য আমার হিজাব খুলে ফেলব। কিন্তু আমি তাকে বলেছিলাম যে প্রতিযোগিতার জন্য আমাকে সাঁতারের পোশাক পরতে হবে না এবং হিজাবও খুলতে হবে না। পরে তিনি রাজী হয়ে যান।’ শীর্ষ নিউজ

captcha