বার্তা সংস্থা ইকনা: এক সপ্তাহ আগে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদের ইমাম জামাল ফাউদা বর্ণবাদী এক খুনির চোখে দেখেছেন জিঘাংসা, দেখেছেন প্রার্থনারত মানুষের রক্ত, দেখেছেন বন্ধু-স্বজনের অসহায় মৃত্যু। ঠিক সাত দিন পর এলো আরেক শুক্রবার। জুমার নামাজের আগে ফাউদা দেখলেন, বুলেট জর্জরিত আল নূর মসজিদের বাইরে হ্যাগলি পার্কে জড়ো হয়েছে হাজারো মানুষ, তাদের মধ্যে আছেন স্বয়ং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডের্ন। দেখলেন, সবার বিষাদ ভরা চোখে ভালোবাসা, সহমর্মিতা।
১৫ মার্চ ওই হামলার ঘটনার পর থেকে প্রতিদিনই সব ধর্মের নানা বয়সী মানুষ ফুল হাতে ওই মসজিদের বাইরে আসছিল সংহতি জানাতে। মাওরি আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী রণনৃত্য হাকা পরিবেশন করে শ্রদ্ধা আর সংহতি জানাচ্ছিল শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার জুমার নামাজের আগে মসজিদের ভেতরে বাইরে সমবেত নিউ জিল্যান্ডবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইমাম জামাল ফাউদা বললেন, “ধন্যবাদ তোমাদের হাকার জন্য, ধন্যবাদ ফুলের জন্য।… নিউজিল্যান্ডকে ভেঙে ফেলা যাবে না। আমাদের হৃদয় ভেঙেছে, কিন্তু আমরা ভেঙে পড়ব না।” নামাজে আসা মুসলমানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডের্ন বললেন, “তোমাদের সঙ্গে আজ পুরো নিউজিল্যান্ড কাঁদছে। আমরা সবাই আজ এক।”
জুমার নামাজের সময় হ্যাগলি পার্কের এই সমাবেশে জড়ো হয়েছিল প্রায় দশ হাজার মানুষ। মুসলমান রীতিতে কালো কাপড়ে মাথা ঢেকে প্রধানমন্ত্রী আরডের্ন সেখানে ছিলেন প্রায় ৩০ মিনিট। শ্রদ্ধা জানানোর এই আনুষ্ঠানিকতায় অকল্যান্ডের চারটি মসজিদ শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সব ধর্মের মানুষের জন্য খোলা ছিল। সন্ধ্যায় অকল্যান্ডের সবচেয়ে পুরনো পার্ক অকল্যান্ড ডোমেইনে প্রদীপে প্রজ্বলিত হয়েছে। iqna