রোববার (০২ আগস্ট) সন্ধ্যায় গাজা থেকে রকেট ছোড়ার জবাবে বিমান হামলা বলেও জানায় তেল আবিব। তবে একে সুস্পষ্ট উস্কানি বলে আখ্যা দিয়েছে হামাস।
সোমবার (০৩ আগস্ট) এক টুইট বার্তায় ইসরাইল জানায়, তাদের যুদ্ধ বিমান গাজায় হামলা চালিয়েছে। গাজা থেকে যে কোনো হামলার জন্য হামাসকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে, দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, গাজা থেকে যখন রকেট ছোড়া হয় তখন দক্ষিণ ইসরাইলের উন্মুক্ত একটি স্থানে কিছু ইসরাইলি নাগরিক সিনেমা দেখছিলেন। তখন তাদের দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
প্রতিক্রিয়ায়, গাজাকে কারো শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ বানাতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছে হামাস। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শত্রুদের মোকাবিলায় হামাসের নীতি, জনগণের অব্যাহত সংগ্রাম ও প্রতিরোধের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে মিশরের কাছ থেকে গাজা দখল করে ইসরাইল। ২০০৭ সালে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও নিরাপত্তা ও অভিযানের ক্ষমতা থেকে যায় তেল আবিবের হাতে।
গাজা এবং মিশরের মধ্যকার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করে ইসরাইল। রকেট ছোড়া বা যে কোনো সংঘাত হলেই সীমান্ত পথটি বন্ধ করে দেয় তেল আবিব।
সবশেষ ইসরাইল ও গাজার শাসক হামাসের মধ্যে ২০১৪ সালে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে অনানুষ্ঠনিক একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকা সত্ত্বেও প্রায়ই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ।
সূ্র:somoynews