শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: তিনি ছিলেন হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর সদৃশ। সকলেই তাঁর চরিত্র, আচরণ এবং পরিপূর্ণতার প্রশংসা করতো। যেহেতু তিনি ছিলেন রাসুল (সা.) এর সদৃশ।
ইমাম হুসাইন (আ.) তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন: «اَللّهُمَّ اشْهَدْ عَلي هؤُلاءِ الْقَوْمِ فَقَدْ بَرَزَ اِلَيْهِمْ غُلامٌ اَشْبَهُ النّاسِ خَلْقاً وَ خُلْقاً وَ مَنْطِقاً بِرَسُولِكَ» হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক যে, আমার এ সন্তান যে তোমার রাসুল (সা.) এর সদৃশ সে আজ যুদ্ধের জন্য যাচ্ছে। আমি যখনই রাসুল (সা.) কে দেখতে চাইতাম তখন আমি আলী আকবরকে দেখতাম।
হজরত আলী আকবর (আ.) মহিমা এবং বিভিন্ন গুণাবলিতে ছিলেন পরিপূর্ণ। শেইখ মুফিদ এবং সৈয়দ ইবনে তাউস (রহ.) এর একটি বাক্য দ্বারা বুঝাতে চেয়েছেন হযরত আলী আকবর (আ.) আধ্যাত্মিকতার কত ঊর্ধ্বে ছিলেন কারবালাতে ৯ই মহরম হজরত আলী আকবর (আ.) ইমাম হুসাইন (আ.) কে জিজ্ঞাসা করেন হে বাবা! আমরা কি হক্ব পথে নাই। উত্তরে ইমাম (আ.) বলেন: হ্যাঁ তখন তিনি বলেন, তাহলে আমি আর মৃত্যুকে ভয় করি না।
হযরত আলী আকবর (আ.) এর সাহসিকতা তাঁর দাদা হযরত আলী (আ.) এর কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন।
আল্লামা মাজলিসি বলেন: কারবালাতে তিনি যেদিকেই হামলা করছিলেন শত্রুদের জন্য আজরাইল রূপে যাচ্ছিলেন এবং এজিদি সৈন্যদের মাঝে ভয় পরিলক্ষিত হয়। ইতিহাসে বলা হয়েছে যে, যদিও তিনি তৃষ্ণার্ত ছিলেন কিন্তু তারপরেও তিনি প্রথম হামলায় ১২০ জনকে হত্যা করেন এবং যখন পুনরায় তার বাবার কাছে বিদায় নিয়ে আসেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি প্রায় ২০০ জন এজিদি সৈন্যকে হত্যা করেছিলেন।
হযরত আলী আকবর (আ.) তাঁর চাচা ইমাম হাসান এবং তাঁর বাবা ইমাম হুসাইন (আ.) এর আদর্শে লালিত পালিত হন। ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত এক যিয়ারতে বলা হয়েছে যে, যখন ইমাম হুসাইন (আ.) এর কবরের পায়ের অংশে অবস্থান করবে তখন হযরত আলী আকবর (আ.) এর যিয়ারত পাঠ করবে।
সে যিয়ারতে বলা হয়েছে: সালাম হোক আপনার প্রতি হে আমিরুর মু’মিনিন (আ.)-এর সন্তান, সালাম হোক আপনার প্রতি হে হাসান ও হুসাইন (আ.) এর সন্তান।
রাসুল (সা.) এর উম্মতের মধ্যে কেউ ১২জন ইমামের ন্যায় পবিত্র বা মাসুম হতে পারবে না। কিন্তু হযরত আলী আকবর সম্পর্কে যিয়ারতে (طیّب) এবং (زكیّ)বলে উল্লেখ করা হয়েছে।