বার্তা সংস্থা ইকনা: দায়েশের কবল থেকে মসুল শহরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের লক্ষ্যে বর্তমানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর তুমুল লড়াই চলছে।
'খাফসা' গণকবরে থাকা হতভাগ্য ব্যক্তিদের বেশিরভাগই ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। মসুল দখলের পর এসব মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে তাকফিরি জঙ্গিরা। এখানে অন্তত ৪,০০০ পুলিশের লাশ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খাফসায় লাশ মাটিচাপা দেয়ার জন্য কোনো গর্ত খনন করেনি দায়েশ জঙ্গিরা। এখানকার একটি গিরিখাদকে লাশ ফেলার কাজে ব্যবহার করেছে তারা। খাফসা গিরিখাদের নিকটবর্তী 'সানানিক' গ্রামের ৪০ বছর বয়সি অধিবাসী মাহমুদ বলেছেন, ট্রাক, পিক-আপ এবং মিনিবাসে করে শত শত পুলিশ সদস্যকে এই গিরিখাদের কিনারায় নিয়ে আসত দায়েশ জঙ্গিরা। পেছন থেকে হাত এবং চোখ বাঁধা হতভাগ্যদেরকে মাথার পেছনে গুলি করে গিরিখাদের মধ্যে ফেলে দেয়া হতো। এই দৃশ্য গ্রামবাসী দূর থেকে দেখেছেন বলে জানান তিনি।
ইরাকে এ পর্যন্ত আবিস্কৃত কোনো গণকবরে এত বেশি মানুষের লাশ পাওয়া যায়নি। এর আগে গত বছর দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় তিকরিত শহরের কাছে ‘ক্যাম্প স্পেচার’ সামরিক ঘাঁটির ভেতর যে বিশাল গণকবরটি পাওয়া গিয়েছিল সেখানে ছিল বিমান বাহিনীর ১,৭০০ ক্যাডেটের লাশ।
২০১৪ সালের জুন মাসে ইরাকের উত্তর ও পঞ্চিমাঞ্চলীয় বিশাল এলাকা দখল করে নেয় উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ। পশ্চিমা ও কিছু আরব দেশের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে এই গোষ্ঠী ইরাকি জনগণের ওপর চালায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ও তাণ্ডব; যার কিছু কিছু চিত্র এখন জনসমক্ষে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।#
পার্সটুডে