বার্তা সংস্থা ইকনা: ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদ-উল মুসলিমিন’ বা এআইএমআইএম নেতার দাবি, ভারতীয় মুলসমানরা জিন্নার দ্বিজাতি তত্ত্বকে মেনে নেননি। সে তত্ব খারিজ করেছিলেন বলেই তাঁরা ভারতেই থেকে গিয়েছেন। যেমন থেকে গিয়েছেন অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষরাও। কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে দেশভাগের দরুণ এখনও মুসলিমরা অবমাননার মুখে পড়েন। দেশের প্রতি ভালবাসা দেখালেও এখনও মুসলিমরা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান পান না। উলটে তাঁদের প্রতি এমন ব্যবহার করা হয় যেন তাঁরা বহিরাগত। ছুতোনাতায় ভারতীয় মুসলিমদের আক্রমণ করে পাকিস্তানি বলে ডাকা হয়। যা চরম অপমানের। এই প্রবণতা বদলের ডাক দিলেন এই সাংসদ। তাঁর দাবি, এই অপমান যাঁরা করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সরকার এ ব্যাপারে আইন আনুক। যাঁরাই ভারতীয় কোনও মুসলিমকে পাকিস্তানি বলে ব্যঙ্গ করবেন, তাঁদের অন্তত তিন বছরের কারাদণ্ড হোক। তবেই এই অবমাননায় ইতি পড়বে।
এদিকে তিন তালাক বিল নিয়ে নেতার অবস্থান বিপরীত মুখে। তিন তালাক রোধে যে বিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা নারীবিরোধী বলেই মনে করেছেন তিনি। প্রকাশ্যে ও সংসদের কক্ষেও সে কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে মুসলিম মহিলারা এই বিলকে জয় হিসেবেই দেখছেন। এই দ্বৈততার মধ্যেই মুসলিমদের সম্মান নিয়ে সওয়াল নেতার। বস্তুত দেশপ্রেমিক ও দেশবিরোধীকে মোটা দাগে ভাগ করতে প্রায়শই পাকিস্তানি বলে দেগে দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময় নেতাদের মুখেও তা শোনা গিয়েছে। বলা বাহুল্য এর শিকার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভারতীয় মুসলমানরা। আসাদউদ্দিনের মতে, ভারতীয় মুসলমানরা যদি পাকিস্তান জন্মের দাবিকে সমর্থন করত, তাহলে দেশভাগের পর সেখানেই চলে যেতে পারত। কিন্তু তাঁরা তা করেননি। বরং জাতির ভিত্তিতে বা দ্বিজাতি তত্ত্বের উপর দেশভাগ মেনে নেননি বলেই তাঁরা ভারতে থেকে গিয়েছেন। সেই হিসেবে জিন্নার তত্ত্বকে বাতিলই করেছেন তাঁরা। তাহলে এখন কেন যে কোনও কারণে তাঁদের পাকিস্তানি বলে ব্যঙ্গ করা হবে? কঠোর সাজার নিদান চেয়েই এই প্রবণতা বন্ধের ডাক দিলেন নেতা। এমটিনিউজ