বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: কাগজেকলমে দিল্লির মঞ্চটা ছিল বিজেপির নির্বাচনী জনসভা। সেই মঞ্চই কার্যত হয়ে উঠল সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণস্থল। এই দুই বিষয় নিয়ে দেশজোড়া বিক্ষোভের মুখে দাঁড়িয়ে মোদির আশ্বাস- হিন্দু হোক বা মুসলিম, দেশের কোনো নাগরিকের জীবনেই প্রভাব পড়বে না। সেই সাথে উল্লেখ করলেন ভারতের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের কাঠামোর কথা। পাশাপাশি, সিএএ-এনআরসি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন মোদি।
মোদি আরও দাবি করেছে, এই আইনের ফলে দেশের ১৩০ কোটি ভারতবাসীর জীবনে কোনো প্রভাব পড়বে না, তা সে সংখ্যাগুরু হোক বা সংখ্যালঘু। তার কথায়, ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কারো নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেয়ার জন্য নয়। দেশের কোনো মুসলমানকে তাড়াতে এই আইন নয়। যে শরণার্থীরা আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ধর্মের কারণে প্রতারিত এই আইন তাদের জন্য। এই আইন সেসব শরণার্থীদের জন্য যারা বহু বছর এ দেশে রয়েছেন।’
১১ ডিসেম্বর সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। এই আইনের ফলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ খ্রিস্টান, পার্সি ও জৈন শরণার্থীদের এ দেশের নাগরিকত্বের পথ প্রশস্ত হয়েছে। তবে এই বাদ রাখা হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের। এজন্য গোটা দেশে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। iqna