IQNA

বিশ্ব ইমাম হুসাইন (আ.)-এর পদাঙ্কে

ইমাম হুসাইন (আ.)এর ডাকে আজাও সকলে লাব্বাইক বলে + ভিডিও

0:02 - August 14, 2021
সংবাদ: 3470500
তেহরান (ইকনা): নাইজেরিয়ার ইসলামিক মুভমেন্টের নেতা শেখ ইব্রাহিম জাকজাকি বলেছেন: ৬১ হিজরির দশম মহররমে ইমাম হুসাইন (আ.)এর “হাল মিন নাসিরিন ইয়ানসুরুনি” (তোমাদের মধ্যে কেউ কি আমাকে সাহায্য করার জন্য আছো?)-এর আহ্বান কেউ শুনিনি অথবা জবাব দেয়নি। কিন্তু বর্তমানে অর্থাৎ আমাদের সময় ইমামের এই আহ্বান সকলে শুনতে পাচ্ছি এবং ইমামের এই ডাকে সকলে “১লাব্বাইক ইয়া হুসাইন (আ.)” বলছি।

সাইয়্যেদুশ শোহাদা আবা আব্দিল্লাহিল হুসাইন (আ.) এবং তার অনুগত সাথীদের পবিত্র শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বার্তা সংস্থা “ইকনা”র পক্ষ থেকে “বিশ্ব ইমাম হুসাইন (আ.)-এর পদাঙ্কে” শিরোনামে ধারাবাহিক অনুষ্ঠান চালু করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের মুসলিম নেতাদের ইসলামী উম্মাহর জাগরণের উপর বিভিন্ন সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রকাশ করা হবে।

আজকের পর্বে নাইজেরিয়ার ইসলামিক মুভমেন্টের নেতা শেখ জাকজাকির বক্তব্যের একাংশ তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে নাইজেরিয়ার বাকিয়াতুল্লাহ হুসাইনিয়ায় সেদেশের সেনাবাহিনী ও পুলিশের রক্তক্ষয়ী হামলা চালিয়ে শেখ জাকজাকি এবং তার স্ত্রী জিনাত ইব্রাহিম ও তার এক পুত্রকে গ্রেফতার করে। কিছু সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন অনুযায়ী সেসময় জারিয়া শহরের হুসাইনিয়া এবং শেখ জাকজাকির বাড়িতে হামলার ফলে কমপক্ষে ২ হাজার মুসলমান নিহত হয়েছে।

এই হামলায় শেখ জাকজাকি গুরুতর আহত হন এবং তার তিন ছেলে শহীদ হন। এছাড়াও অপর তিন থেকে ২০১৪ সালের বিশ্ব কুদস দিবসের (পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার) মিছিলে অংশগ্রহণ করে শাহাদাত বরণ করেন।

বন্দি অবস্থায় শেখ জাকজাকিকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় রাখা হয়। অন্যায়ভাবে টানা ৬ বছর বন্দি থাকার অপর তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয় এবং ২৮ জুলাই তাকে এবং তার স্ত্রীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

নাইজেরিয়ার ইসলামিক মুভমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা শেখ জাকজাকির এই বক্তব্যটি তার বন্দী হওয়ার পূর্বে বক্তৃতার অংশ।

এই বক্তৃতায় তিনি বলেছেন: “ইয়া হুসাইন (আ.)” বাক্যের অর্থ হচ্ছে হে হুসাইন (আ.) আমরা আপনার সাথে আছি। তাঁর শাহাদাতের পর আজও আমরা লাব্বাইক ইয়া হুসাইন বলে তার আহ্বানে সাড়া দিচ্ছি। ইমাম হুসাইন তার পরিবারের নিকট হতে বিদায় নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে যেয়ে শাহাদাত বরণ করেন।

ইমাম তাদের অনেককে বোঝানোর পরেও শত্রুরা তাকে লক্ষ্য করে তীর নিক্ষেপ ও পাথর নিক্ষেপ করে এবং এই হামলা ততক্ষণ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে যতক্ষণ না ইমাম তাঁর ঘোড়া থেকে পড়ে যান। সেসময় তিনি একা ছিলেন এবং তাঁর হাতদ্বয় আসমানের দিকে তুলে বলেন: “তোমাদের মধ্যে কেউ কি আমাকে সাহায্য করার জন্য আছো?”

সেসময় তার এই আহ্বানে কেউ সাড়া দেয়নি এবং তখনকার মানুষ তার প্রতি সহানুভূতি দেখায়নি। তবে তার এই আহ্বান বৃথা যায়নি। বর্তমানে ইমামের “হালমিন নাসিরিন ইয়ানসুরুনি”র আহ্বানের উত্তরে সকল “লাব্বাইকা ইয়া হুসাইন” বলে।  iqna

 

captcha