বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম মাহদীর অন্তর্ধানের যুগে মানুষকে নানাভাবে পরীক্ষা নেয়া হবে।
সূরা বাকারাহ'র ১৫৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنْفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা, জান ও মাল এবং ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে পরীক্ষা করব। (হে পয়গম্বর!) আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন।
এই পার্থিব জগত হলো একটি পরীক্ষার জায়গা। আল্লাহ তা'লা প্রত্যেক মানুষকেই পরীক্ষা করেন। তবে সবার পরীক্ষা একই স্তরের নয়। আল্লাহ যাকে যেমন জ্ঞান, মেধা এবং জীবনোপকরণ দিয়েছেন তাকে ঠিক তার অনুপাতেই পরীক্ষা করা হবে। সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কিংবা জালেমের হাত থেকে মজলুমকে উদ্ধার করার জন্য যুদ্ধে যাওয়ার বিষয়টিও একটি পরীক্ষা। আল্লাহ পাক দেখতে চান মানুষ তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে কি না। এছাড়া আর্থিক অনটন, দারিদ্র, জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতি এসবই পরীক্ষা হিসেবে মানুষের জীবনে আসে। মানুষ এসব বালা-মুসিবতের সময় কি ধরনের আচরণ করে তাই পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
তবে আল্লাহ তা'লা মানুষকে পরীক্ষা করার অর্থ এই নয় যে, তিনি মানুষকে চেনেন না, মানুষের প্রকৃতি তাঁর জানা নেই। এর অর্থ হচ্ছে- আল্লাহ পাক মানুষকে পরীক্ষার মাধ্যমে তার ভেতরে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে চান এবং মানুষকে পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পুরস্কার লাভের উপযোগী করতে চান।