বার্তা সংস্থা ইকনা: ‘সম্প্রীতির জন্য হিজাব’ নামে কর্মসূচির আয়োজকরা জানান, গত শুক্রবারের হামলায় পুরো নিউজিল্যান্ড শোকাহত। মসজিদে হামলায় প্রাণ হারানো ৫০ জন মা, বাবা, সন্তান, সহকর্মী ও বন্ধুদের প্রতি আমরা ভালোবাসা ও সহমর্মিতা জানাতে চাই। আমরা জানাতে চাই, মুসলিমরা নিউজিল্যান্ডে একা না, আমারা তাদের পাশে সবসময় আছি।
ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ওই কর্মসূচিতে নারীরা ব্যাপক ভাবে সাড়া ফেলেছে। অনেকে এর প্রশংসা করেছেন।
কেউ বলেছেন, মুসলিমদের পাশে দাঁড়াতে আমরা সদা প্রস্তুত। কর্মসূচির একজন আয়োজক থমাস বলেন, মুসলিম ভাই বোনদের পাশে দাঁড়াতে আমরা একদিন হিজাব পরতেই পারি। নিউজিল্যান্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
দেশটির ইসলামিক নারী কাউন্সিলের নেতা বলেন, এমন উদ্যোগ আমাদের জন্য সত্যি অনেক আনন্দের।
নিউজিল্যান্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রেসিডেন্ট এমন উদ্যোগকে ‘চমৎকার ধারনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এছাড়া মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা পার্লামেন্টে এক বিশেষ অধিবেশনে বলেছেন, এ হামলাকারীকে ‘আইনের সর্বোচ্চ সাজা’ ভোগ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘তার এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পক্ষে সে অনেক কিছু ভাবতে পারে। কিন্তু সে কুখ্যাতি ছাড়া আর কিছুই পায়নি। তার এই জঘন্য কাজের জন্য আমি কখনোই তার নাম উচ্চারণ করব না।’ iqna