বার্তা সংস্থা ইকনা: আমেরিকায় বসবাসকৃত মুসলমানদের মৃত্যুর পর কাফন ও দাফনের জন্য যে খরচ হয়, তার জন্য তারা অসন্তুষ্ট এবং ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দাফনের ব্যাপারে সেদেশের সরকারী কর্মকর্তাদের সহায়তা না পাওয়ায় মুসলমানেরা আপত্তি করেছে।
আল-আরাবিয়া আল-জাদিদ সাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিউনিসিয়ার 'আলী মাহমুদ' ২০১১ সালে আমেরিকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তার দাফনের জন্য মুসলমানদের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয় এবং এখনও তার সমাধান হয়নি।
তিউনিসিয়ার এই যুবক ঘুমিয়ে পড়ার পর মৃত্যু বরণ করেন এবং আমেরিকার পুলিশ অনেক অনুসন্ধানের পর তিউনিসিয়ার আলী মাহমুদের পরিবারবর্গদের খুঁজে পায়।
আলী মাহমুদের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানায়, তার পরিবারের অনুমতি ব্যতীত আলীর দাফন সম্পন্ন করতে পারছিনা। আর এ জন্য আলীর মৃতদেহ তিন সপ্তাহের অধিক হিমাগারে থাকে।
আলীর বন্ধু জামাল খেলাদ বলেন, প্রধান সমস্যা হচ্ছে আমেরিকায় ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দাফনের জন্য অনেক খরচ করতে হয়। অধিকাংশ পরিবারই দাফনের খরচ বহন করতে পারে না। অপরদিক থেকে আরবি দেশসমূহে মৃতদেহ স্থানান্তরের খরচও সাধারণের তুলনায় বেশ কয়েক গুণ অধিক।
আমেরিকায় ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দাফনের খরচ ৫ হাজার ডলারজামাল বলেছেনে: আমেরিকায় ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দাফনের খরচ গড়ে প্রায় ৫ হাজার ডলার ব্যয় হয়। আলী মৃতদেহ তিউনিসিয়ায় স্থানান্তর করতে ২৫ হাজার ডলার ব্যয় হতো।
তিনি বলেন: আলীর পরিবার তার মৃতদেহ তিউনিসিয়ায় স্থানান্তর করার জন্য সম্মতি প্রদান করেছিল। আলী মৃতদেহ স্থানান্তরে খরচ যোগানোর জন্য নিউ ইয়র্কে বন্ধু ও আরবদের নিকট থেকে সাহায্য গ্রহণ করা হয়েছিল; তবে সাহায্য হিসেবে যে অর্থ সংগৃহীত হয়েছিল, তা যথেষ্ট ছিল না।
অবশেষে আলীর পরিবারকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে এবং আমরাও বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে অ-ইসলামী করবস্থানে আলীকে দাফন করতে বাধ্য হয়।
Iqna