বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.)বলেছেন, সদকা দান করা হচ্ছে উপকারী ঔষধ বা প্রতিষেধক। সদকা দিলে মানুষের দুনিয়া ও আখিরাত দুটোই ভাল হয়।
ইমাম বলেছেন: সদকা মানুষের সব ধরনের বালামুসিবত দুর করে দেয়। আর মানুষ দুনিয়াতে যা করতে আখিরাতে তার ফল পাবে। তাই সে ভাল কাজ হোক আর খারাপ কাজই হোক তা তার সামনে হাজির করা হবে। সুতরাং যে সদকা দান করতে এটা তার জন্য ভাল আমল হিসাবে আখিরাতে তার সামনে হাজির করা হবে।
কতইনা ভাল যে, মানুষ তার নিজের, তার পরিবারের এবং ইমাম মাহদীর সহিসালামাতির জন্য সদকা দান করবে। এভাবে সে ইমাম মাহদীর সাহায্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।
সদকা অর্থাৎ দান বান্দার প্রতি পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার অন্যতম নির্দেশিত বিধান। এর মাধ্যমে মানব জীবনের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ সাধিত হয়।
ত্রুটিপূর্ণ নয়; উত্তম বস্তুই সদকা দেওয়া উচিত। এ সম্পর্কে সুরা বাকারার ২৬৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, 'হে বিশ্বাসীরা! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি জমি থেকে তোমাদের জন্য যা উৎপাদন করে দিই, তা থেকে যা ভালো, তা দান করো। মন্দ জিনিস দান করার ইচ্ছা করো না।' প্রকাশ্য সদকার চেয়ে গোপন সদকা অবশ্যই উত্তম। এর কারণ হচ্ছে, প্রকাশ্য সদকা প্রদানে কখনো কখনো আত্মঅহমিকা প্রকাশ হতে পারে। আবার দানগ্রহীতা ব্যক্তি মানসিকভাবে বিব্রত হতে পারেন। শাবিস্তান