IQNA

দুই দশক পর বিশ্বে অতি দরিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে

18:38 - October 08, 2020
সংবাদ: 2611606
তেহরান (ইকনা): দুই দশকের বেশি সময় পর এ বছর বিশ্বে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ফের বাড়ছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, করোনা মহামারির প্রকোপে অতি-দরিদ্রের তালিকায় থাকা মানুষের সংখ্যা হবে ১১ কোটি ৫০ লাখ। এদিকে সুইস ব্যাংক জানাচ্ছে, করোনাকালেও বিশ্বের ধনকুবেরদের ১০ লাখ ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সম্পত্তি বেড়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, মহামারিতে বিশ্বব্যাপী সংঘাত আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। এ দুটি নিয়ামক ইতোমধ্যে দারিদ্র্য বিমোচন সংক্রান্ত প্রচেষ্টার লাগাম টেনে ধরেছে। ২০২১ সালের মধ্যে অতি দরিদ্রের সংখ্যা বেড়ে ১৫ কোটিতে দাঁড়াতে পারে।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি জানিয়ে বলছে, বিশ্বব্যাংকের হিসাবে যাদের দৈনিক আয় ১৬১ টাকার কম তারাই অতি দরিদ্র। ১৯৯৮ সালে এশিয়ার অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তখন অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছিল। এর পর গত ২২ বছরে বিশ্বে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কখনোই বাড়েনি।

মহামারির প্রকোপ শুরুর আগে অবশ্য ২০২০ সালে বিশ্বে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৭ দশমিক ৯ শতাংশ কমবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু দারিদ্র্য নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দ্বি-বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি বছরে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ১ থেকে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

২০৩০ সালের মধ্যে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ শুরু করেছিল ওয়াশিংটনভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংক। কিন্তু দ্রুত, উল্লেখযোগ্য এবং সহায়ক নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপ নেয়া না হলে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয় বলে নিজেদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ব্যাংকটি।

এদিকে মঙ্গলবার সুইস ব্যাংক থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, মহামারি যখন সবচেয়ে প্রকট; সেই এপ্রিল থেকে জুলাইয়ে বিশ্বের ধনকুবেরদের সম্পত্তি ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ বা ১০ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি বেড়েছে। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি কামিয়েছেন প্রযুক্তি ও শিল্প খাতের কর্তাব্যক্তিরা।’

শতকোটিপতিদের সম্পত্তি সর্বোচ্চ বৃদ্ধির রেকর্ড এটি। এর আগে ২০১৭ সালে বিশ্ববাজারে শেয়ারের মূল্য বাড়ায় তখন ধনকুবেরদের সম্পত্তির পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলার বেড়েছিল। সুইস ব্যাংক বলছে, কোভিড-১৯ সংকটকালেও শতকোটিপতিরা ‘খুব ভালো’ করেছেন। শতকোটিপতির সংখ্যাও বেড়েছে।
সূত্র: jagonews24

captcha