'ট্র্যাপড' শিরোনামের প্রতিবেদনটি তৈরিতে গাজা উপত্যকার ৪৮৮ শিশু এবং ১৬৮ জন পিতা-মাতা ও সেবাকর্মীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে সংস্থাটির পরিচালিত অনুরূপ গবেষণার পরবর্তী ধাপ বলা হচ্ছে এটিকে।
গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলি অবরোধ ২০০৭ সালের জুনে শুরু হয়। এটি অঞ্চলটির অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এ ছাড়া গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের বাইরে যাওয়া ব্যাপকভাবে সীমিত করে দিয়েছে। এ অবরোধ বিশেষ করে শিশুদের ওপরে প্রভাব ফেলেছে। গাজার ২০ লাখ অধিবাসীর ৪৭ শতাংশই শিশু।
গাজার প্রায় আট লাখ শিশু জন্ম থেকেই তাদের জনপদকে অবরুদ্ধ দেখছে। প্রতিবেদনে শিশুদের জন্য জীবনের প্রতি হুমকিস্বরূপ ছয়টি পরিস্থিতির কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি হচ্ছে সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনা ও একটি কভিড-১৯ মহামারি।
সেভ দ্য চিলড্রেনের সর্বশেষ এ গবেষণায় দেখা গেছে, চার বছর আগে করা তাদের শেষ প্রতিবেদনের পর থেকে শিশু, যুবক এবং পরিচর্যাকারীদের মানসিক সুস্থতার নাটকীয় রকম অবনতি হয়েছে। মানসিক যন্ত্রণার কথা জানানো শিশুদের সংখ্যা ৫৫ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শিশুদের মধ্যে ভীতি, বিষণ্নতা ও দুঃখের মতো বিভিন্ন অনুভূতি ২০১৮ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভীতি অনুভব করে ২০১৮ সালের ৫০ শতাংশের তুলনায় এখন ৮৪ শতাংশ শিশু, অস্বস্তি ৫৫ শতাংশের তুলনায় ৮০ শতাংশ), দুঃখ বা বিষণ্নতা ৬২ শতাংশের তুলনায় ৭৭ শতাংশ এবং দুঃখ ৫৫ শতাংশের তুলনায় বর্তমানে ৭৮ শতাংশ শিশু।
সূত্র : আলজাজিরা