ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী মহানবী (সা.)এর প্রিয় কন্যা হযরত ফাতিমা সালামুল্লা আলাইহার পবিত্র জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল (বুধবার) রাজধানীর তেহরানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নেতা একদল নারীর উদ্দেশ্যে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে পাশ্চাত্যে নারীদের প্রকৃত অবস্থার চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদী শাসন ব্যবস্থায় মানুষের মর্যাদা পুঁজির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় এবং পুরুষরা অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক হওয়ায় নারীর ওপর পুরুষরা অগ্রাধিকার পাচ্ছে। কম মজুরিতে কারখানায় নারীদের ব্যবহার করার জন্য পশ্চিমে নারী স্বাধীনতার বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছিল। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় পুঁজি মানবতার চেয়ে উচ্চতর এবং মানুষের মানবতা পুঁজির সেবায়। তাই যে বেশি পুঁজি সঞ্চয় করতে পারে সে আরও মূল্যবান।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পশ্চিমারা যখন নারীর অধিকারের ব্যাপারে নিজেদেরকে অগ্রপথিক বলে উপস্থাপন করে তখন তা চূড়ান্ত লজ্জা বলে পরিগণিত হয়। বরং এর বিপরীতে আসল সত্য হচ্ছে- পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্নভাবে নারীর মর্যাদা বিনষ্ট করেছে এবং নারীর অধিকার ধ্বংস করার ক্ষেত্রে তারাই দায়ী। নারীর অধিকারের পক্ষে পশ্চিমাদের ওকালতি চরম পর্যায়ের নির্লজ্জতা।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, নারীর অধিকারের পক্ষে পশ্চিমারা যে কথা বলে তা একটি ভুয়া দাবি এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের নির্লজ্জতা। বরং পশ্চিমা দেশগুলোতে হাতে নারী এবং তরুণীরা বিভিন্নভাবে অপব্যবহারের শিকার হয়ে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমারা যখন নারীর অধিকারের ব্যাপারে নিজেদেরকে অগ্রপথিক বলে উপস্থাপন করে তখন তা চূড়ান্ত লজ্জা বলে পরিগণিত হয়। বরং এর বিপরীতে আসল সত্য হচ্ছে- পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্নভাবে নারীর মর্যাদা বিনষ্ট করেছে এবং নারীর অধিকার ধ্বংস করার ক্ষেত্রে তারাই দায়ী। নারীর অধিকারের পক্ষে পশ্চিমাদের ওকালতি চরম পর্যায়ের নির্লজ্জতা।
সর্বোচ্চ নেতা ইরানি নারীদেরকে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নীতি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আরো বেশি অংশ নেয়ার জন্য উৎসাহ দেন। তিনি বলেন, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এ বিষয়ে আমাদের সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।” 4112059