বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারিকে একপ্রকার বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। ভবিষ্যতে এর দীর্ঘস্থায়ী কুপ্রভাব পড়বে বলেও তাঁর অভিমত
জেনেভায় গতকাল শুক্রবার ডব্লিউএইচওর জরুরি কমিটির বৈঠকে টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, ‘করোনাজনিত মহামারির জেরে যে স্বাস্থ্য সংকট দেখা দিয়েছে, গত এক শতাব্দীর মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেনি। আগামী কয়েক দশক এর রেশ থেকে যাবে।’
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বে ছয় লাখ ৭৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে এক কোটি ৭৭ লাখের বেশি মানুষ। গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, মেক্সিকো ও যুক্তরাজ্য করোনায় সর্বাধিক প্রভাবিত হচ্ছে। সংক্রমণ রুখতে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর সুনির্দিষ্ট কৌশল নিশ্চিত করতে পারেনি এসব দেশের সরকার। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। সংক্রমণ রুখতে বিধিনিষেধের কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে এর মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে গত সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানকে বলতে শোনা গেছে, ‘যেসব দেশ ভেবেছিল, তারা করোনার ভয়াবহতাকে পার করে ফেলেছে, সেখানে নতুন করে সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও যেসব দেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব খুব কম ছিল, সেখানে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।’
বিশ্বের একাধিক দেশে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা চলছে। এ লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে দেড় শতাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা। বহু সংস্থার দাবি, করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ তারা প্রায় শেষ করে ফেলেছে। চলতি আগস্টের মাঝামাঝি রাশিয়ার একটি সংস্থা বিশ্বের প্রথম করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনার সরকারি ছাড়পত্র পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০২১ সালের প্রথমার্ধের আগে করোনার ভ্যাকসিন বাজারে সহজলভ্য হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।