এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ কাজ করতে হবে, প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে নয়।
উত্তর প্রদেশ সরকার, প্রয়াগরাজ ও কানপুর নগর কর্তৃপক্ষকে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। উত্তর প্রদেশে কথিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধ করতে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিল জমিয়াত উলামা-ই-হিন্দ।
বাড়িঘর ধ্বংস করার পর নোটিশ দেওয়া হয় দাবি করে তাদের আইনজীবী সিইউ সিং বলেন, ‘নোটিশে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া বাধ্যতামূলক, যা করা হচ্ছে, তা অসাংবিধানিক ও বীভৎস। একটি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে এসব করা হচ্ছে। ’ কোনো স্থাপনা ধ্বংসের আগে ১৫ থেকে ৪০ দিনের নোটিশ দেওয়া বাধ্যতামূলক বলেও জানান এই আইনজীবী।
কর্তৃপক্ষ স্থাপনা ধ্বংসের পেছনে অবৈধ ও নকশাবহির্ভূত নির্মাণের যুক্তি দিয়েছে। বিচারক এ এস বোপানা বলেন, সরকার আপত্তি জানানোর সময় পাবে। এ সময়ের মধ্যে ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত। তাঁরাও আমাদের সমাজের অংশ। সর্বোপরি, কারো কোনো অভিযোগ থাকলে তাঁদের তা জানানোর অধিকার আছে।
বিষয়টিকে রাজনীতির সঙ্গে অপ্রয়োজনীয়ভাবে গুলিয়ে ফেলেছে গণমাধ্যম। সম্পত্তি ধ্বংস করার আরো ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবেদনকারীরা। তাঁরা এ জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন নিরাপত্তা চেয়েছেন।
যোগী আদিত্যনাথের সরকার বলছে, আইন অনুযায়ী অবৈধ স্থাপনা ধ্বংস করেছে সরকার। সরকারপক্ষের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানের ক্ষেত্রে কোনো সম্প্রদায়ের কথা বিবেচনা করা হয়নি। আবেদনকারীরা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে অভিযোগ করেছেন। আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিক নথি আছে। ’
সূত্র : এনডিটিভি।